একমাত্র জমিটি ১লাখ টাকা গির্বি দেওয়া হাবিবের বাবা এখন অন্যের জমির বর্গা চাষী। পরিবারের এ অবস্থায় হাবিবের ফুটবল ভবিষ্যত যেন অনিশ্চিত। আর এ সমস্যাকে সমাধান করতে এগিয়ে আসলেন ব্যারিস্টার সুমন। পরিবারের চাপ যেন হাবিবের ফুটবল ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলতে না পারে এজন্য হাবিবের বাবার হাতে ১লাখ টাকার চেক তুলে দেন ব্যারিস্টার সুমন।
রায়হান আহমেদ : “ঝিমিয়ে পড়া বাংলাদেশের ফুটবলকে জাগ্রত করতে হবে। এ ফুটবলের মাধ্যমে আমরা একদিন বিশ্বমঞ্চে মাথা আরো উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো। এজন্য প্রত্যেক ফুটবলারের যত্ন নিতে হবে। প্রতিভা যেন ঝরে না পড়ে এদিকে সতত সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের উৎসাহ দিতে হবে, তবেই দেশে ভালো ফুটবলারের উন্মেষ ঘটবে।” ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির একজন প্রতিভাবান ঋণগ্রস্ত ফুটবলারকে ঋণমুক্ত করতে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানকালে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রোববার সকালে চুনারুঘাট উপজেলার ঘরগাঁও গ্রামের তৈয়ব সরদারের ছেলে, ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির প্রতিভাবান খেলোয়াড় হাবিবের বাড়িতে গিয়ে এ অনুদান প্রদান করেন তিনি।
জানা যায়, একমাত্র জমিটি ১লাখ টাকা গির্বি দেওয়া হাবিবের বাবা এখন অন্যের জমির বর্গা চাষী। পরিবারের এ অবস্থায় হাবিবের ফুটবল ভবিষ্যত যেন অনিশ্চিত। আর এ সমস্যাকে সমাধান করতে এগিয়ে আসলেন ব্যারিস্টার সুমন। পরিবারের চাপ যেন হাবিবের ফুটবল ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলতে না পারে এজন্য হাবিবের বাবার হাতে ১লাখ টাকার চেক তুলে দেন ব্যারিস্টার সুমন।
তিনি আরো বলেন, “ঋণগ্রস্ত একজন ফুটবলারের ঋণমুক্ত করার মাধ্যমেও ফুটবলে অবদান রাখা যায়। তাই সকল ফুটবল প্রেমীরা আসুন, প্রতিভাবানদের পাশে দাঁড়াই। তাদের প্রতি আন্তরিক হই।”
চেক প্রদান করার সময় উপস্থিত ছিলেন- ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির সহ-সভাপতি সোহেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মাসুক মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জুনায়েদ আহমেদ পলক, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সম্রাট মিয়া, রুহেল আহমেদ, মিজান মিয়া সহ আরো অনেকে।
এছাড়াও ব্যারিস্টার সুমন কিছুদিন আগে চুনারুঘাটের সেরা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়কে একটি সিএনজি প্রদান করেন, যেন অভাবের কারণে খেলাটা তাকে না ছাড়তে হয়।